নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ১৯৫২ সালে রাজধানী ঢাকার রাজপথে মাতৃভাষা বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলন কালে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক চার বারের নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব আজমেরী ওসমানের পক্ষে নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ২১শের প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এক শোক বার্তায় আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর বাঙালির প্রতি যে অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি, ’৫২-র ভাষা আন্দোলন ছিল তারই একটি প্রবল প্রতিবাদ। শাসকের বুলেটও তা থামাতে পারেনি। ১৯৫২ সালের শুরুতে আন্দোলন প্রবল হয়ে উঠতে থাকে। ওই বছর একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ ও সাধারণ ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পাকিস্তান সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে জনসমাগম, জনসভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করে দেয়। ছাত্ররা সংগঠিতভাবে ১৪৪ ধারা ভাঙলে পুলিশ গুলি চালায়। শহীদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না-জানা অনেকে। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সারা পূর্ব বাংলা। পরদিন সারারাত জেগে শহীদদের স্মরণে গড়া হয় শহীদ মিনার। পুলিশ তা ভেঙে ফেললে আবারও গড়ে ওঠে শহীদ মিনার। এ শহীদ মিনার একুশের শোক, সংগ্রাম ও শপথের প্রতীক। তা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও জাতিচেতনামূলক আন্দোলনের চালিকাকেন্দ্র হয়ে আছে আমাদের জাতীয় জীবনে।
এ সময় নেতাকর্মীরা প্রয়াত জননেতা একেএম শামসুজ্জোহা, আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান, আলহাজ্ব পারভীন ওসমান, নাসিম ওসমান দুঃস্থ ও জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যাণারে পৃথক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা কাজি আমির, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ প্রধান, যুব নেতা আকতার নুর, শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ হোসেন রেজা, মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন আলম, মোঃ নাসির হোসেন, মোঃ মনির হোসেন ও মোঃ সুমন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।