নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ১ জুন সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে ২নং রেল গেইট সংলগ্ন পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে, পরিবারের কথা না ভেবে কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। গত ১৬/১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। হাজারো কোটি টাকা খরচ করে দেশবাসীর মন থেকে তার নাম মুছতে পারেনি। যতদিন তিনি বেচেঁ ছিলেন ততদিন বাংলার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেশের মানুষকে কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশকে একটিন সুখি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আজকে অনেকেই বিএনপির দূর্নাম করার জন্য চেষ্টা করছে। বিএনপির নির্দিষ্ট নেতৃত্ব রয়েছে। যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপকর্ম, দূর্ণীতি বা অন্যায় কর্মকান্ড করে তাহলে সেটার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, ইতিপূর্বে যারা অপকর্ম করেছে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এমনকি পুলিশে পর্যন্ত ধরিয়ে দিয়েছে। তাই বলবো, যারা বিএনপি করবেন ন্যায়, নিষ্ঠার সাথে বিএনপি করবেন। আজকে অনেক বিএনপির নেতা দাঁড়িয়ে গেছে। গত ১৬ বছর যারা বিএনপি থেকে দূরে থেকেছে, বিএনপির নাম শুনলে সামনে আসেনি, যাদের কোন পদ নাই আজকে তারা বিএনপির কথা বলতে চায়, বিএনপি থেকে নমিনেশন চায়, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে অনুষ্ঠান পালন করতে চায়। অনুষ্ঠান করেন কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পরিক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। ঐ সময় পর্যন্ত যারা রাজপথে ছিলো তারাই হবে আগামী দিনে বিএনপির কান্ডারী।
অনুষ্ঠানে সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ মোঃ রেজা রিপন, বিএনপি নেতা নাজমুল, সরকার আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য শেষে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয় ও উপস্থিত সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।