শনিবার ১০ মে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ, এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। তাহলে প্রশ্ন জাগে নারায়ণগঞ্জ কি কখনো গ্রিন বা ক্লিন ছিলোনা। ছিলো, আমরা সেটাকে নষ্ট করেছি। তবে এখন আমাদের চিন্তা হয়েছে নারায়ণগঞ্জকে গ্রিন এন্ড ক্লিন করতে হবে। গত ২০ বছরের পরিবর্তনে আমরা দেখতে পাই শুধু সবুজকে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। পরিবেশ যদি না বাঁচে তাহলে কি আমরা বাঁচতে পারবো, নদী বাচাঁতে পারবো। নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে। যদি প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক করা না যায় তাহলে কি এ অঞ্চল বসবাসের উপযোগী থাকবে ? শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে দোকানের সামনের অংশটুকু সেই দোকান মালিককে পরিষ্কার রাখতে হবে। কে কি করলো সেটা দেখে লাভ নেই, আপনি আপনার কাজটুকু করেন তাহলেই দেখবেন নারায়ণগঞ্জ পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জলাবদ্ধতার কথা বলেছেন কিন্তু এর পেছনে দায়ী কে। ড্রেনের মধ্যে এসব জিনিস আসে কোথা থেকে। আজকের যে পরিস্থিতি তাতে গাছ লাগানোটা খুবই জরুরী। গাছ লাগানোটা একটা ইবাদতের মত। পরিবেশ ঠিক রাখতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। এছাড়াও খাল-বিল দখল মুক্ত করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ বিপ্লবীদের শহর। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারায়ণগঞ্জ বাসী এগিয়ে রয়েছে। শুধু পরিবেশ আর নদী না, পরবর্তী প্রজন্মকে ভালো সমাজ উপহার দিতে হলে আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবতে হবে। শিশুদেরকে ভালোভাবে গড়ে উঠতে না দিলে সুস্থ্য প্রজন্ম পাবোনা। এছাড়াও মাদক হচ্ছে একটি বড় অভিশাপ। এর থেকে তরুন সমাজকে মুক্তি দিতে হবে। এজন্য জনসাধারণের ভূমিকা খুবই অগ্রগণ্য। শুধু শহরকে গ্রিন এন্ড ক্লিন করলে হবেনা সরকারী যত দপ্তর রয়েছে সেগুলোকেও ক্লিন করতে হবে।
এর পূর্বে লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসবে সহযোগীতা প্রদানকারী বিভিন্ন সংগঠনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াত ইসলামীর সাবেক আমীর মাইনুদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের তরিকুল সুজন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।