নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বাংলাদেশ মহিলা সংঘ (বিএমএস) নারায়ণগঞ্জ এর উদ্যোগে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩ জাতীয় দিবস” উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ৭ই মার্চ সকাল ১১টা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের উল্টো পাশে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন, বাংলাদেশ মহিলা সংঘ (বিএমএস) এর সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন নারী কমান্ডার ফরিদা আক্তার (একুশে পদক প্রাপ্ত)।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা সংঘ (বিএমএস)’র সাধারণ সম্পাদক ঝুমুর আক্তারের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিখা রানী সাহা। এছাড়া মো. হাবিবুর রহমান ও কাউছার আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কমান্ডার ফরিদা আক্তার বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে বলিষ্ঠ কন্ঠে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু সেই তেজোদীপ্ত উচ্চারণ-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্র্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শুধু স্বাদীনতা যুদ্ধে নয়, সেই ভাষণ আজও ব্ঙাগালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন ভূখন্ড এবং ক্ষুধামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ার। তিনি এক সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে তিনি তৈরি করবেন দক্ষ মানব সম্পদ আর যারা হবে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান, সুশিক্ষিত নাগরিক। একটি সামাজিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন তিনি।
পরিশেষে উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।