নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ৯ম-১০ম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর দুপুরে এক আলোচনা সভা মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।

এবছর আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলাও আলোচনা সভা, “সুলতানার স্বপ্ন” নিয়ে বিশেষ পাঠচক্র, রচনা প্রতিযোগিতা, সাইকেল রান, পত্রিকায় লেখা প্রকাশসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের এই অনুষ্ঠান।
বেগম রোকেয়ার জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, অর্থ সম্পাদক শীলা সরকার ও প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ, ছাত্রীদের মধ্যে আমেনা আক্তার। পরিচালনা করেন প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন।
বক্তারা বলেন-বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত। তাঁর জন্ম না হলে এই উপমহাদেশে নারী জাগরণ তথা সামাজিক উন্নয়ন ঘটতে আরো সময় লাগতো। বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, সমাজ সংস্কারক এবং নারী জাগরণের অগ্রদূত। তার জন্ম ও শৈশব কাটে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে এবং তিনি নারীশিক্ষা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং নারীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। তার বিখ্যাত কিছু সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘পদ্মরাগ’ ও ‘সুলতানার স্বপ্ন’।
তিনি ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের এবং বড় বোন করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী তার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিলেন। তৎকালীন সময়ে নারীদের আধুনিক শিক্ষা লাভের সুযোগ সীমিত ছিল।রোকেয়ার বড় বোন করিমুন্নেসা তার বাংলা ভাষা চর্চায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
তিনি নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন এবং তিনি নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন এবং ভোটাধিকারের জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষাবিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ সময় নবম ও দশম শ্রেণীর ৮৭জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
newsbank24.net সত্যের পথে সবসময়