নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : “আমরা পরিবর্তন চাই না বলেই ঝামেলা এড়াতে চাই। অথচ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনতেই হবে। সমাজ ও পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে, আমাদেরও বদলাতে হবে। তাই চালকদের নিয়োগপত্র, প্রশিক্ষণ, পোশাক, ডোপটেস্ট ও মনিটরিং ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে জেলার সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নেতৃবৃন্দদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার ২৬ জুন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বক্তব্যে আরও বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান বিষয়ে মালিক- শ্রমিক সংগঠনে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এবং রাষ্ট্রের আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। সড়কে দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ সহজ এবং বাধ্যতামূলক করা বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। ড্রাইভার ও হেলপারের বিশেষ পোশাক পরিধানের বিষয়ে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মতামতের ভিত্তিতে রং এবং ডিজাইন নির্বাচিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। চালকদের নিয়মিত ডোপটেস্ট করে সড়কে গাড়ি চালাতে হবে। কল্যাণ ফান্ড গঠন, সড়ক মেরামত এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা মনিটরিং কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সভায় জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও জেলা আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভালো রাস্তা ছাড়া নিরাপদ যান চলাচল সম্ভব নয়। মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের অবস্থা ভয়াবহ, যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে মাদকাসক্ত চালক। তাই চালকদের নিয়মিত ডোপটেস্ট প্রয়োজন। এছাড়া দুইটি মহাসড়ক ঘেঁষা এই জেলায় দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেশি। মহাসড়কের পাশে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করলে অনেক প্রাণ রক্ষা সম্ভব।”
মহান বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “চালকদের তথ্য, পরিচয়পত্র ও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে অপরাধের পর পালিয়ে যেতে না পারে। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা নিশ্চিত করা জরুরি।”
তরিকুল সুজন প্রস্তাব দেন, “প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সক্রিয় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হোক, যারা নিয়মিত বাসস্ট্যান্ড ও টার্মিনালে তদারকি করবেন।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, র্যাব-১১ এর এএসপি মো. মাসুদ, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. নূর কুতুবুল আলম, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও জেলার আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) শওকত আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলমসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস ও ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।