নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : অপশক্তি পূজাকে কেন্দ্র করে দেশে যে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিদের অপপ্রয়াস কঠিন হস্তে দমন করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে সচেতন হয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন কমিউনিটি সেন্টারে আসন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা বাংলাদেশের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। নির্দেশনায় তিনি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন—দেশের যেকোনো স্থানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা উসকানিমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গোৎসব শুরু হয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। দুর্গা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত প্রতিটি পূজা মণ্ডপে বিএনপির পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১০ জন করে কর্মী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বন্দর উপজেলা সহ মোট ৮২টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি মণ্ডপে নজরদারি নিশ্চিত করব যাতে পূজার আনন্দ বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত না হয়।
প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভায় মহানগর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গাপূজার সময় পাহারার দায়িত্ব পালন করবেন। বিগত বছরগুলোতেও আমরা এভাবে পূজার নিরাপত্তায় পাশে ছিলাম। এ বছরও আমরা শেষ পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে তাদের উৎসব সফল ও আনন্দঘন করতে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ১০ জন করে স্থায়ী পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি মহানগরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন। বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
সভায় নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আপনারা যেভাবে আমাদের আগলে রেখেছেন তা অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আসন্ন ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গোৎসব শুরু হবে সে সময়ও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি পূজা মণ্ডপে আপনাদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ ও দাওয়াত রইল।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সানিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি সভাপতি, মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব শাহেন শহ্ আহম্মেদ।বন্দর থানা, সাধারণ সম্পাদক, জনাব নাজমুল হক রানা (বাবু)। সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সিনিয়র সদস্য, এড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। সিনিয়র সদস্য ড. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য শিপলো, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ১৮নং ওয়াড বিএনপি মোঃ আল-আরিফ, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, মাহাবুব রহমান। ১২ওয়াড বিএনপির বরকতউল্লাহ লালু।
আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শ্রী শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন,সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগরের সভাপতি শ্রী বিষ্ণু পদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা,তপন সাধু প্রচার সম্পাদক জেলার, সুমন দে দপ্তর সম্পাদক মহানগর ও আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কৃষ্ণ আচায্য সহসাংগঠনিক সম্পাদক মহানগর, প্রমুখ।