নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এফ.এম আবু সাইদ পদ ত্যাগ করেছেন।
বুধবার ৮ই অক্টেবর নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর রবিবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। পরবর্তীতে ০৬/১০/২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন থেকে আমাকে অব্যহতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অগ্রহনযোগ্য বেআইনি। কারণ আমি ৫ই অক্টোবর লিখিত ভাবে সরাসরি ও অনলাইনে পদত্যাগ পত্র বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এড মাহাবুবুর রহমান ইসমাইলের নিকট জমা দেই। এছারাও গত ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মৌখিক ভাবে তার বাসায় গিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়ে এসেছি। যে সকল কারণে পদত্যাগ করেছি তা নিম্নে তুলে ধরেছি।
১। মজুরি আন্দোলনের সময় বিজেএমইএ এর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্য পদ নেন ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে। এটার হিসাব সংগঠনকে দিতে অস্বীকার করে।
২। ক্রোণী গ্রুপের প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক ছাটাই করার পর ডিসির সমজোতায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের মিটিংয়ে ক্রোণী সকল শ্রমিকদের মামলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে মামলা না করে থাইল্যান্ডে গিয়ে ক্রোণী মালিক আসলাম সানীর সাথে আতাত করে শ্রমিকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে শ্রমিকদের বঞ্চিত করে।
৩। সংগঠনের ফুল টাইমার অফিসে থেকে কাজ করার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর কোন চিকিৎসার খরচ দেয়নি। এখানে নারায়ণগঞ্জ মানবিক ডিসি জনাব জাহিদুল ইসলাম মিয়া ৫ হাজার টাকা সহযোগিতায় আমার চিকিৎসা খরচ বহন করি।
৪। গত সম্মেলনের পর সংগঠনের সকল হিসাব দেবার পর সংগঠন থেকে ১৫৫০০ টাকা এখন পর্যন্ত পাওনা আছি।
৫। বিভিন্ন গার্মেন্টসের আবীর ফ্যাশন, রূপশী গার্মেন্টস, আই.এফ.এস আন্দোলন করার পর শ্রমিকদের বঞ্চিত করে মালিকদের সাথে আতাত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে শ্রমকিরা আমার উপর ক্ষিপ্ত। এর জবাব চাওয়াতে সংগঠন খারাপ ব্যবহার করেছে।
৬। মামলা বানিজ্য: শ্রমিকদের বলে লেভার কোর্ট শ্রমিকদের শেষ আশ্রয় স্থল, মামলা করে শ্রমিকদের পক্ষে টাকা খায় মালিকের থেকে।