নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড ও ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং সিপিসি-৩, নোয়াখালী-এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ১০ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন মাইজদি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মনির উদ্দিন (৩৩), পিতা- মৃত আব্দুল কাদের, সাং- পূর্ব সোনাদিয়া, থানা-হাতিয়া, জেলা নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মনির উদ্দিন(৩৩) ভিকটিমের সাথে ব্যবসায়ীক পরামর্শ প্রদান করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। উক্ত সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আসামী মনির উদ্দিন বাদীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আসামী মনির উদ্দিন ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৮/০৫/২০২১ খ্রিঃ হতে ০৯/০২/২০২৩ খ্রিঃ পর্যন্ত একাধিক বার ধর্ষণ করে। ভিকটিম আসামী মনির উদ্দিনকে বিয়ের জন্য একাধিকবার বললেও বিবাদীকে আজ কাল বিবাহ করবে বলে বিভিন্ন অজুহাত
দেখিয়ে কালক্ষেপন করাতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে সান্তনা দেয়ার জন্য মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে নোয়াখালী পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৪, তারিখ ০১ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামী মনির উদ্দিন(৩৩) কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং সিপিসি-৩, নোয়াখালীর যৌথ চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মনির উদ্দিন(৩৩)’কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফতুল্লা থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।